উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে জরাজীর্ণ প্রাথমিক স্কুল ভবন স্থলে ১১টি বহুমুখী দূর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র বাস্তবায়ন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের চাহিদা প্রাক্কলনের ধারাবাহিকতায় এসব সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র হস্তগত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়ায় দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এসব ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। কেননা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ভবন নির্মাণের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করেছে।
প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দু রশিদ খান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে এক একটি বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ে এসব ভবনে নিরাপদ আশ্রয় ও খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন বহুমুখী দূর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বাস্তবায়নাধীন এসব সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল ভবনগুলো নির্মিত হবে মধ্যম হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাবেক রুমখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুরুমখালী মহাজনপাড়া সপ্রাবি, পূর্ব পাইন্যাশিয়া সপ্রাবি, পালংখালী সপ্রাবি, লম্বাঘোনা সপ্রাবি, হাতিমোরা সপ্রাবি, করইবনিয়া সপ্রাবি, পূর্ব ভালুকিয়া সপ্রাবি ও রতœাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনস্থলে এসব সাইক্লোন সেন্টারগুলো নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামীম ভুঞা জানান, সংশ্লিষ্ট স্কুল ভবন এলাকায় অতিরিক্ত জায়গা বা পরিবেশ না থাকলে পূর্বের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে সেখানে বাস্তবায়নাধীন সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল ভবনগুলো নির্মিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ঠ এলজিইডি’র অধীন বাস্তবায়নাধীন বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় প্রকল্পের আওতাধীন নতুন ডিজেস্টার সেল্টার ভবন নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শুরু এবং শেষ করা হবে তা জানতে চাওয়া হলে সহকারী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার ব্যাপারে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্থ করেন। –
পাঠকের মতামত